December 22, 2024, 4:05 pm
সূত্র, ডয়চে ভেলে/
বাংলাদেশের সংবাদপত্র ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্পাদকদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতায়েত্সকি। তার দাবি, ঢাকার কয়েকটি সংবাদমাধ্যম পশ্চিমা গণমাধ্যমের মতো রাশিয়াবিরোধী পক্ষপাতদুষ্ট খবর প্রচার করছে।
ঢাকার একটি পিআর এজেন্সি রোববার রাষ্ট্রদূতের চিঠিটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পাঠায়। পরদিন সেটি দূতাবাসের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে প্রকাশিত হয়, যা ডয়চে ভেলেকে নিশ্চিত করে রাশিয়ান দূতাবাস।
রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানতায়েত্সকির সই করা চার পাতার চিঠিতে মূলত ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে মস্কোর অবস্থান ব্যাখ্যা করা হয়েছে। তবে রাষ্ট্রদূত সেখানে আরো দাবি করেছেন যে মস্কো এবং ঢাকার মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে কিছু গণমাধ্যম বর্তমানে এই অবস্থান নিয়েছে।
রাষ্ট্রদূত বলেন, ইউক্রেনের পরিস্থিতি এবং সেখানে রাশিয়ার পদক্ষেপ নিয়ে বাংলাদেশের কিছু গণমাধ্যমের পক্ষপাতদুষ্ট আচরণকে আমি সেই সব শক্তির ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টার অংশ মনে করছি। তারা রাশিয়া এবং বাংলাদেশের মধ্যকার লাভজনক সহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্ক সবসময় অবমূল্যায়নের চেষ্টা করেছে। ৫০ বছর আগে দুই দেশের মধ্যে এই সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল।
রুশ রাষ্ট্রদূত মানতায়েত্সকি তার চিঠিতে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সহায়তার সঙ্গে বর্তমানে ইউক্রেনে রাশিয়ার পদক্ষেপের তুলনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাসে রুশ ভাষাভাষী মানুষদের সহায়তা করতে সেখানে অভিযান চালাচ্ছে মস্কো।
রাষ্ট্রদূত লিখেছেন, ১৯৭১ সালে অবাঙালি প্রভুরা আধিপত্য বিস্তার করতে বাঙালি জনগণের বিরুদ্ধে যে হয়রানি, বৈষম্য ও সহিংসতা চালিয়েছিল, তা ভারত এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের সক্রিয় সমর্থনে বন্ধ করতে বাংলাদেশিদের আট মাস সময় লেগেছিল। ফলে তারা স্বাধীনতা পায়, স্থানীয় ভাষায় কথা বলার অধিকার পায়। পূর্ব ইউক্রেনের ডনবাসের রুশভাষী লোকেরা গত আট বছর ধরে একই অধিকার পাওয়ার জন্য সংগ্রাম করছে, যখন কিনা তারা কিয়েভের শাসকগোষ্ঠী দ্বারা গণহত্যার শিকার হচ্ছে। একই কারণে, তাদের মাতৃভাষা বলার অধিকার নিশ্চিত করতে এবং ভাষাভিত্তিক বৈষম্যের অবসান ঘটাতে রাশিয়া আবারও এগিয়ে এসেছে।
Leave a Reply